ভয়ংকর রুপ নিচ্ছে বন্যা!

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে।

সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে করে কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজিবপুর, রাজারহাট ও নাগেশ্বরী উপজেলার নদ-নদী তীরবর্তী নিন্মাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব এলাকার অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে গ্রামীন রাস্তাঘাট, মাছের ঘের, শাক সবজিসহ আমন বীজতলা।

ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার কিছু পরিবার ঘর-বাড়ি ছেড়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও গরু ছাগল নিয়ে উঁচু সড়কে অবস্থান নিতে শুরু করেছে।

বন্যায় ঘরছাড়া মানুষেরা ঘরবাড়ী ছেড়ে উচু জায়গায় অবস্থান নিয়ে একপ্রকার খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।

বন্যার্তদের জন্য এখন পর্যন্ত ত্রান তৎপরতা শুরু না হলেও জেলা প্র*শা*সন অফিস সুত্রে জানায় বন্যার্তদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। দু’একদিনের মধ্যে বিতরণ শুরু হবে।